আপনার ডিজিটাল পৃথিবী
কি সত্যিই নিরাপদ?

এক মুহূর্তের ভুল, সারাজীবনের আফসোস। আসুন, আমরা একসাথে শিখি, সচেতন হই এবং ডিজিটাল জগতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখি।

ডিজিটাল ভূকম্পন: যে ঘটনাগুলো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে

রিজার্ভ চুরি (২০১৬)

৮১ মিলিয়ন ডলারের এই ডিজিটাল ডাকাতি প্রমাণ করে, দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত দুর্গও ভেদযোগ্য।

শিক্ষা: প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা সর্বনাশের কারণ হতে পারে।

NID ডেটা ফাঁস (২০২৩)

৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়াটা আপনার ডিজিটাল পরিচয়ের মাস্টার-কি হারানোর সমান।

শিক্ষা: আপনার তথ্য সুরক্ষার দায়িত্ব শুধু আপনার একার নয়।

ডিপফেক স্ক্যান্ডাল (২০২৩)

প্রযুক্তি ব্যবহার করে সত্যকে বিকৃত করা এখন এতটাই সহজ যে, যা দেখছেন তা বিশ্বাস করার আগে দুবার ভাবতে হবে।

শিক্ষা: ডিজিটাল জগতে সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে উঠছে।

অপরাধীর অস্ত্রাগার: যেভাবে পাতা হয় প্রতারণার ফাঁদ

ফিশিং: লোভের টোপ

'আপনি লটারি জিতেছেন' বা 'আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে'—এই ধরনের লোভ বা ভয় দেখিয়ে আপনাকে একটি নকল লিঙ্কে ক্লিক করতে বাধ্য করা হয়। টোপ ফেললেই আপনার তথ্য চুরি।

ভিশিং: ফোনের ফাঁদ

প্রতারকরা কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি সেজে ফোন দিয়ে আপনার বিশ্বাস অর্জন করে। এরপর কৌশলে আপনার পিন বা ওটিপি জেনে নিয়ে মুহূর্তেই অ্যাকাউন্ট খালি করে ফেলে।

ব্ল্যাকমেলিং: আবেগের অস্ত্র

প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, তারপর ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য সংগ্রহ। এরপর সেই তথ্য ফাঁস করার হুমকি দিয়ে টাকা বা অন্য কোনো অনৈতিক সুবিধা আদায় করা হয়।

ডিপফেক: সত্যের বিকৃতি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে আপনার মুখ বা কণ্ঠস্বর নকল করে ভুয়া ভিডিও বা অডিও তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে গুজব ছড়ানো বা সম্মানহানি করা হয়।

আপনার ডিজিটাল দুর্গ কতটা সুরক্ষিত?

নিচের checklist-টি দেখুন এবং নিজেকে একজন সাইবার যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলুন।

আপনিই পারেন প্রতিরোধ গড়তে

সাইবার অপরাধের শিকার হলে নীরবতা মানে অপরাধীকে প্রশ্রয় দেওয়া। ভয় না পেয়ে সঠিক জায়গায় অভিযোগ করুন। আপনার একটি পদক্ষেপ বাঁচাতে পারে হাজারো মানুষকে।